Translate

My social links

Saturday, 21 November 2015

Trek to Dzongri

Dzongri trekking videos are published in 3 parts on YouTube as per following links below. Watch all for complete information.
Part 3: https://youtu.be/Q-1ErYqM_Ko
জংরির জঙ্গলে কয়েকটি দিন

Dzongri top
২০১৫ মে মাসের দিতীয় দিন . কামরূপ এক্সপ্রেস ছুটে চলেছে আমাদের নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ির দিকে . এবার ট্রেকিংএর সদস্য মাত্র দুজন তমঘ্ন আর আমি . মনে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কোনো মতে বেড়িয়ে পড়েছি . সদস্য কম হয়ার জন্য নিজেদের মনকে এটা ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিয়েছি যে ট্রেক টা যতটা সক্ত জানতাম , আমাদের জন্য আরো অনেক বেশি বাধা বিপত্তি পূর্ণ হতে চলেছে . নিজে দের শারীরিক ও মানসিক দক্ষতার এক্স শতাংশ উজাড় করে না দিতে পারলে হয়তো আমরা আশা অনুরূপ ফল পাব না . ট্রেক টির প্রস্তাব কি ভাবে এসেছিলো সেই মুহূর্ত গুলোই আজ বার বার মনে পড়ছে.....................

২০১৪ নভেম্বর দিতীয় সপ্তাহ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলেছে . একটা SMS এল “ অনেক ক্ষণ থেকে ফোন করছি , ফোন টা তোল”.....তমঘ্ন . ফোন করতেই বিস্ফোরক প্রস্তাব ... সামনের বছর একটা ট্রেক কি করা হবে , দেখা কর আলোচনা হবে . মিটিং হল অনেকেই যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করল . ঠিক হল জংরি গোচালা যাওয়া হবে . কিন্তু ট্রেনএর টিকিট কাটার সময় সদস্য মাত্র তিন জনে ঠেকলো . ট্রেক ছোট করা হল , ঠিক হল আমরা জংরি পর্যন্ত যাব – কারণ এখান পর্যন্ত থাকা খাবার ব্যবস্থা আছে . সব ঠিকঠাকি চলছিল কিন্তু দিন দুএক আগে রঞ্জনদা টিকিট ক্যানসেল করালো . পড়ে রইলাম মাত্র দুজন তমঘ্ন আর আমি . অনেক বাধা বিপত্তি সত্তেও আমরা সাহস করে বেড়িয়ে পড়লাম .

Yuksome
নিউ জলপাইগুড়ির পৌঁছাবার কথা সকাল ৬:১৫ নাগাদ , কিন্তু ট্রেন লেট করে ৮:০০ টা বাজিয়ে দিল . ঠিক ছিল আমরা জোরথাং হয়ে যাব . NJP থেকে জোরথাং যাবার শেয়ার ট্যাক্সি পায়া যায় না , অটো ধরে গেলাম SNT বাস স্ট্যান্ড . 9:৪৫ ট্যাক্সি ছুটে চল্লো জোরথাংএর  দিকে , ভাড়া জন প্রতি ২০০ টাকা . ৩ ঘন্টা পরে আমরা জোরথাং পৌঁছালাম . জোরথাংএর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডটা খুবই আধুনিই, তিন তলা . এখান থেকে সিকিমএর ভিতরে বা বাইরে যেকোনো জায়গায় যাবার শেয়ার ট্যাক্সি পাওয়া যায় . ইয়াকসাম যেতে হলে তিন তলা থেকে ট্যাক্সি ধরতে হয় . দুপুরের লাঞ্চ সারলাম মোমো দিয়ে . ১:৩০ শে আবার যাত্রা শুরু করলাম , গন্তব্য ইয়াকসাম ভাড়া জন প্রতি ১৫০ টাকা. প্রায় সাড়েতিন ঘন্টা পরে অবশেষে যাত্রা শেষ হল .

ইয়াকসাম

হোটেল DEMAZONG এর সামনে গাড়ি থেকে নামলাম . হোটেলের OWNER রব (০৯৭৭৫৪৭৩৬৮৭) . প্রথমেই বলে রাখি আগে থেকেই রবের সঙ্গে কথা বলাছিল , ছেলেটি প্রচন্ড হেল্পফুল . ৩০০ টাকার বিনিময়ে দোতলায় একটি ঘর দিল . ঘরটি বেস বড় – ট্রেকার দের জন্য খুবই ভালো . রব’ই গাইডকে ফোন করে দিল পরের দিন সকাল সাতটায় আসার জন্য . ফ্রেশ হতে হতেই সন্ধে নেমে আসলো . সময়ের সল্পতার জন্য সহরটি আর ঘুরে দেখা হল না . খাবার জায়গা দুটি গুপ্তা রেস্টুরেন্ট আর ইয়াক রেস্টুরেন্ট . আমরা ইয়াক রেস্টুরেন্টটে মাংস রুটি দিয়ে ডিনার সারলাম . পরের দিনের জন্য ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে রাত্রি নটায় মধ্যে শুয়ে পড়লাম .

Kabru from Yuksome
 পরের দিন ভোর ৪ টের সময় ঘুম ভেঙ্গে গেল . সূর্য উদয় হতে এখন দেরি আছে কিন্তু একটা হালকা আলোর আভা ফুটে গেছে . যাই হোক প্রাতক্রিয়া সেরে হোটেলের বাইরে বেড়িয়ে দেখি সামনের পাহাড়ের খাঁজের ভিতর থেকে পান্ডিম উঁকি মারছে . আকাশে হালকা মেঘ থাকলেও আকাশ পরিস্কারই বলা চলে . চট জলদি ক্যামেরা নিয়ে হোটেলের ছাদে চলে গেলাম . ইতি মধ্যেই পান্ডিমএর মাথা সূর্যের আলোয় লাল হয়ে গেছে . পাহাড়ে সূর্য উদয়ের এই পরিচিত রঙের বাহার দেখতেই দূর দিগন্ত থেকে আমাদের মত ট্রেকার দের ছুটে আসা . নিথর চোখে দাঁড়িয়ে মন ভরে এই রূপের সাদ নেয়া ছাড়া এই মুহের্তে আর কিছু করার নেই . মাঝে মাঝে ক্যামেরা তুলে একটা করে ক্লিক ...........

Trek start point at Yuksome
সকালের টিফিন সারলাম ব্রেড , বাটার , চিনি আর এক গ্লাস করে ছাতু দিয়ে . ইতি মধ্যেই আমাদের গাইড অনুজ চলে এসেছে কিন্তু পোর্টার জোগার হয়নি . শেষ মেষ ঠিক হল অনুজই বড় রুক্সাক, স্লীপিং ব্যাগ আর টেন্ট নিয়ে যাবে তার জন্য তাকে দিন প্রতি ১১০০ টাকা দেয়া হবে . তমঘ্ন অনুজকে নিয়ে পুলিশ চৌকিতে নাম এন্টি করতে বেড়িয়ে গেল আমি ব্যাগ গুছিয়ে বোতলের জলে গুলে নিলাম টাং . টাং হল আমাদের নতুন সংযোজন দারুন একটা এনার্জি ড্রিংক . রব একটা গাড়ি ঠিক করে দিল যেটা আমাদের ট্রেকিংএর স্টার্টিং পয়েন্টএ পৌঁছে দেবে . ৮:১০ এ আমরা যাত্রা শুরু করলাম . প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে গাড়ি আমাদের নামিয়ে দিল . এখান থেকেই হাঁটা শুরু ......

দুই পাসে সারি দিয়ে একতলা দুতলা ঘরবাড়ি, মাঝ বরাবর সংকীর্ণ পাথুরে রাস্তা চলে গেছে . প্রিতিটি বাড়ির বারান্দায় বা উঠানে সারি সারি ফুলের গাছ, পাহাড়ের এ’এক অতি পরিচিত দৃশ্য . গাইডকে পিছনে ফেলে আমরা এগিয়ে চলেছি অজানা পথে . মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ঘর বাড়ি সব দৃশ্য পট থেকে হারিয়ে গেল . আমরা পাথুরে চড়াই রাস্তা ধরে নিবিড় বনানীর মধ্যে প্রবেশ করলাম .
চড়াই উতরাই পথে কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা একটি ধস প্রবন এলাকায় ঢুকে পড়লাম . ঝুর পাথুরে রাস্তা নিচের দিকে নেমে গাছে, গাছের আড়াল থেকে দেখাগেল অনেক নিচে রথাং নদী সসব্দে বয়ে চলেছে . নামনাজানা পাখির ডাক শুনতে শুনতে আবার এগিয়ে চলা . রাস্তার ধারে একটা আটচালা মত ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালাম – কি যেন একটা রাস্তা দিয়ে বেয়ে চলেছে . প্রথম টা জোঁক ভেবে ভুল করলেও সামনে গিয়ে বুঝ লাম এত একটা লার্ভা, ক্যামেরা বন্দী করে এগিয়ে চললাম .একটা খিন সব্দ প্রকট হতে শুরু করলো, বাঁক ঘুরতেই ! প্রথম ব্রিজ . লোহার ক্যাবল দিয়ে বাঁধা এটি একটি সাসপেন্সান ব্রিজ . পাহাড়ের খাঁজে ঝুলন্ত এই ব্রিজএর নিচে দিয়ে ফা খোলা বয়ে চলেছে . ব্রিজএর ও পারে একটি গেট করা আছে, তার মাথায় লেখা well come to kanchandzondga sanchury .

Sanctuary gate
এই মনরম দৃশ্য উপভোগ করতে করতে এগ টোস্ট দিয়ে সকালের পেট পুজো সারা হল . এই জায়গাতে মাছি জাতীয় পোকা মাকড়ের প্রচন্ড উপদ্রোপ . ইতি মধ্যেই আমাদের গাইড অনুজ পৌঁছে গেছে .
আবার এগিয়ে চলা, কখনো চড়াই কখনো উতরাই . চারি দিকে জঙ্গল আর জঙ্গল, দেওদার জাতীয় গাছ’ই বেশি . এই ভাবেই প্রায় ঘন্টা খানেক চলার পরে পাহাড়ের এক বাঁকে দেখা গেল দ্বিতীয় ব্রিজ . এটিও লোহার ক্যাবল দিয়ে বাঁধা সাসপেন্সান ব্রিজ . এর নিচে দিয়ে থুসু খোলা বয়ে চলেছে . এখানেও মাছি জাতীয় পোকা মাকড়ের প্রচন্ড উপদ্রোপ . কেক বিসকুট দিয়ে হালকা টিফিন সারা হল . ইতি মধ্যে একটি রাশিয়ান টিমএর  দেখা পায়া গেল . জনা সাতেকের দল, সঙ্গে গাইড পোর্টার ইয়াক এর ছরা ছরি . এরা যাচ্ছে রেড পান্ডার সাথে . এতক্ষণ পরে একাকিত্ব কাটল . কথাবলার একটু লোক পায়া গেল .

4th bridge
এই ভাবে চলতে চলতে তৃতীয় ব্রিজ এসে পৌঁছালাম . এটি একটি কংক্রীড় ব্রিজ . এখান দিয়ে বয়ে চলেছে মেনটোঙ্গা খোলা . নদীতে জল নেই বললেই চলে . একদল ইয়াক উপর থেকে নিচের দিকে নেমে চলেছে . ইয়াকের গলার ঘন্টার টুং টুং শব্দে চারি দিক ভরে গেল . চিরেভাজা আর বাদাম দিয়ে আপাতত পেটের ইদুর গুলোকে চুপ করালাম . আজকের পথ অতি দীর্ঘ তা আগে থেকেই জানা ছিল, তাই সময় নষ্ট না করে আবার হাঁটা দিলাম . কিছুদুর যাবার পর রাস্তার একটু উপরে দুটি টেন্ট দেখা গেল . বুঝতে অসুবিধা হলনা আমরা সাচেন চলে এসেছি . রাস্তার কিছুটা নিচে একটি লগ হার্ট রয়েছে . যারা এক দিনে বাখিম বা সোকা যেতে পারেনা তাদের জন্য এটি একমাত্র থাকার জায়গা . আবার যারা ঘন জঙ্গলের মধ্যে রাত্রিবাস করতে ভালো বাসে তাদের জন্য এর থেকে আদর্স কিছু হতে পারেনা . যাই হোক আমাদের আজকের গন্তব্য সোকা তাই মায়া না বাড়িয়ে এগিয়ে চলাই আমাদের জন্য আদর্স হবে . হটাথই উতরাই রাস্তা শুরু হল নামছি তো নামছি . আবার সেই খিন সব্দ অতি পরিচিত . সেসমেশ নেমে এলাম চতুর্থ ব্রিজে . এটিও লোহার ক্যাবল দিয়ে বাঁধা সাসপেন্সান ব্রিজ তবে এটির আকার প্রকান্ড . অনেক নিচে দিয়ে বয়েচলেছে প্রেকচু নদী . বিশাল তার জলরাশি আয়জও গুরু গম্ভীর . ব্রিজের চারি দিকে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ উড়ছে . পাহাড়ের গা বেয়ে বিশাল একটি ধস নদী পর্যন্ত নেমে এসেছে . এই দৃশ্য কখনো ভোলার নয় ! এবার শুধুই চড়াই .

Bakhim
চতুর্থ ব্রিজ থেকে বাখিম পর্যন্ত পুরোটাই চড়াই রাস্তা . গাছের ছায়ার মধ্য দিয়ে আলো-আঁধারী রাস্তা ধরে আমরা এগিয়ে চলেছি . পায়ের তলায় পড়ে আছে শুকানো পাতা, এর উপর দিয়ে হাঁটার সময় যে মস-মস করে সব্দ হয় তা বেস রোমাঞ্চ কর লাগছিল . এই ভাবে হাঁটতে হাঁটতে প্রায় এক ঘন্টা পরে আমরা বাখিমে পৌঁছে গেলাম . পাহাড়ের ঢালে একটি পরিবার বাসকরে . থাকার কোনো ঘর নেই কিন্তু খাবার পায়া যায় . টেন্ট গ্রাউন্ড আছে  কিন্তু বন দপ্তরের বাংলোটা ২০১১এর ভূমিকম্পে বাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ওখানে আর থাকতে দেয়না . এখান থেকে ইয়াকসামের একটি অংশ দেখা যায় . গরম চা আর নুডুলস দিয়ে পেট পুজো সেরে আবার হাঁটা দিলাম . ইতি মধ্যেই চারি দিক কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গেছে . শরীর ক্লান্ত হয়ে এসেছে, কোনো মতে আর তিন কিলোমিটার যেতে পারলেই আজকের গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে . এই ভাবে চড়াই ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এগিয়ে চলেছি . হটাথই দেখি রাস্তার মাঝে থোকা থোকা সাদা ফুলে ভরা একটি গাছ . বুজতে অসুবিধা হল না এটি রডডেনড্রন . ভেবেই ভালো লাগলো এবার থেকে মাঝে মাঝেই গুরাস দেখা যাবে . রডডেনড্রন এখানে গুরাস নামেই পরিচিত . আমাদের গাইড আগে চলে গেছে তাই বুঝতে পারছিলাম না আর কত দূর যেতে হবে . মনে হল কুয়াশার আড়াল থেকে কে যেন ডাকছে . রাস্তা ছেড়ে ডানদিকে এগিয়ে গেলাম, সারি সারি টেন্ট ক্যাম্পিং করা রয়েছে . ও আমরা সোকা চলে এসেছি . এত ঘন কুয়াশা পড়েছে যে দশ ফুট দূরে কিছু দেখা যাচ্ছেনা .
সোকা

Tshkoa
সোকার টেন্ট গ্রাউন্ডটা বেস বড়, প্রায় ন’টা টেন্ট পিচ করা আছে . পোর্টার গাইড ট্রেকার মিলিয়ে অনেক লোক . দুটি বড় মাপের রান্না ঘরে হই হই করে রান্না হচ্ছে, পাসে রয়েছে বেস বড় একটা ডাইনিং রুম . ব্যাগ টেন্টের মধ্যে রেখে বাইরে ঘোরা ঘুরি করতে লাগলাম . জমিয়ে ঠান্ডা পড়েছে, আকাশও পরিস্কার হতে শুরু করেছে . সাতটার মধ্যে রাতের খাওয়া সেরে টেন্টে চলে এলাম . রাত্রে ঘুম অল্প হলেও সকালে শরীর বেশ তরতাজা মনে হচ্ছে . টেন্ট গ্রাউন্ডএর ডানদিকে পান্ডিম তেনজিংখাং ঝুপনু নরসিং সারি বদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে . পান্ডিমএর  মাথা সূর্যের প্রথম আলোকে লাল হয়ে উটছে . গাড় নীল আকাশের মধ্যে রক্তবর্ণ পান্ডিমএর এই রূপ দেখে মন ভরে গেল . ব্রেড , বাটার , চিনি আর এক গ্লাস করে ছাতু দিয়ে উপস ভঙ্গ করলাম . ব্যাগ গুছিয়ে বেরোতে বেরোতে আট’টা বেজে গেল . হাঁটা শুরু হল, দিনের আলোতে বোঝা গেলে সোকা জায়গাটা বেশ বড় . ওপরে আরো একটা টেন্ট গ্রাউন্ড আছে . রাস্তার বাঁ’দিকে রয়েছে মনেস্টি তার সামনে একটি জলাসয় . রাস্তার ডানদিকে রডডেনড্রন গাছের সারি . গাছে কোনো পাতা দেখা যাচ্ছে না শুধু থোকা থোকা লাল গুরাসে ভরে আছে . সব মিলিয়ে সোকার প্রাকিতিক সৌন্দর্য অসামান্য . চড়াই রাস্তা ধরে উপর দিকে খানিক ওঠার পর পিছনে ফিরে দেখি অনেক নিচে সোকা গ্রামকে এক ফ্রেমে দেখাযাচ্ছে . এই দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী না করে এগিয়ে যেতে পারলাম না .




চারি দিকে শুধু গুরাস আর গুরাস তার মধ্য দিয়ে কাঠের গুড়ি পাতা রাস্তা . মনে হচ্ছিল কোনো পার্কের মধ্যে আছি, সাদা লাল গোলাপী হালকা বেগুনী হলুদ গুরাসের যে কত বর্ণ হতে পারে এখানে না এলে তা জানতেই পারতাম না . মাথার উপর নিল আকাশ, চারিদিকে বর্ণময় গুরাস, গভীর জঞ্জলের মধ্য থেকে তুষার শৃঙ্গের লুকোচুরি – এই দেখেতে দেখেতে পৌঁছে গেলাম ফেদাং . জঙ্গলের মধ্যে কাদা ও সবুজ ঘাসে ভরা এই ফেদাং ভ্যালি . ফেদাং থেকে দুটি রাস্তা, একটি জংরি অন্যটি কোকচুরুং’এর দিকে চলেগেছে . ভ্যালির বাঁ দিকে রয়েছে কাঠের একটি ঘর . এখানে রাত্রিবাস করা যায় তবে জলের সমস্যা আছে . ভ্যালির ডানদিক দিয়ে যে রাস্তা টি কোকচুরুং’এর দিকে চলে গেছে সেই রাস্তা ধরে কিছু দূর গেলে তবে জল পাওয়া যায় . আজ আমরা বিনি পয়সায় আলু আর ডিম সিদ্ধ পেলাম, পুরোটাই আমাদের গাইড অনুজের কৃতিত্ত . এখানথেকে ভালো ভিউ দেখা যায়, কিন্তু আমরা তা পেলাম না কারণ আকাশ মেঘে ঢাকা পড়েগেছে . যাইহোক আবার হাঁটা শুরু হল . ঘন্টা খানেক চড়াই ভাঙ্গার পর আমরা ধ্বসে জায়া পাহাড়ের এক ঢালে উপস্থিত হলাম . রাস্তা এখানে প্রচন্ড চড়াই তার উপর উল্টো দিক থেকে ইয়াক নামছে . পায়ের তলায় ঝুর পাথর বালি অতিক্রম করে আমরা সারিবদ্ধ ভাবে এগিয়ে চললাম . সামনেই দেখা যাচ্ছে প্রেয়ার ফ্ল্যাগ উড়তে, দেওরালি এসে গেছে . 

Deorali
এটি মধ্যেই তমঘ্ন মাথায় যন্ত্রণা অনুভব করতে লাগলো, altitude sickness . খানিক বিশ্রাম নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই . মাথা যন্ত্রণার ওষুধ খেয়ে তেমন কোন লাভ হবে বলে মনে হয় না . আরো অনেক সহ যাত্রীরা একই ভাবে বিশ্রাম নিচ্ছে . একটা পোর্টারএর অভিজ্ঞতা  কাজে লাগল ‘গলুকোস ওয়াটার’ – পাঁচ মিনিটেই একদম সুস্থ . চিরেভাজা আর চকলেট দিয়ে এনার্জি লেভেলটা কিছুটা বাড়িয়ে নিলাম . এখানেও রডডেনড্রন গাচ্ছে ভর্তি তবে ফুল নেই . গাছের তলায় বরফ জমে আছে . আকাশ একই ভাবে মেঘাছন্ন হয়ে আছে . আবার যাত্রা শুরু হল, এবারের রাস্তা সমতল . মিনিট দশেক পর শেষ চড়াইয়ের সামনে এসে দাঁড়ালাম . চারিদিক রডডেনড্রন বেষ্টিত বরফ জমে থাকা একটা উন্মুক্ত প্রাঙ্গন, পাসে রয়েছে শুকিয়ে জাওয়া একটা লেক আর কুয়াশায় আলো আঁধারী আবরণে ঢাকা মায়াবী প্রান্তর . চারিদিক এত নিস্তব্দ প্রাকিতিক সৌন্দর্যে ভরা পা নিশ্চল চোখ নিস্পলক হয়ে যাবে . যাই হোক মায়া কাটিয়ে বাস্তবের চড়াই চড়তে শুরু করে দিলাম . এবার উতরাই পথে কিছুদূর গেলেই আজকের গন্তব্য . উতরাই পথ যেন শেষ হচ্ছে না শরীর অবশ হয়ে আসছে, পায়ে পায়ে জড়িয়ে যাচ্ছে . গন্তব্যের খুব কাছে চলে এলে সাধারণ ভাবে মানসিক দৃঢ়তা শিথীল হতে থাকে এটা তারই প্রমান . অনেকটা ঘোড়া দেখে খোড়া হওয়ার মত . যাই হোক সামনে অনুজ কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শরীরের ক্লান্তি দূর হল . অবশেষে স্বপ্নের জংরিতে পদার্পণ করলাম .

জংরি


Dzongri tent ground
পাহাড়ের খাঁজে দুটি ট্রেকার্স হার্ট আর দুটি হার্টের সামনে দুটি টেন্ট গ্রাউন্ড আছে . দিতীয় গ্রাউন্ডএর সামনেই নিল-সবুজ রঙের আমাদের টেন্টটি খাটানো হয়েছে . চারি দিক দিয়ে পাহাড় বেষ্টিত হওয়ার জন্য প্রবল বাতাস না বইলেও ঠান্ডাটা জমিয়ে পড়েছে . একটা সরু জলধারা বয়ে চলেছে যা এক মাত্র লাইফ লাইন . ক্লান্ত শরীর কে রেস্ট দেবার জন্য টেন্টে প্রবেশ করলাম . ক্লান্তি কিন্তু কাটছে না উল্টে শরীর আরো খারাপ হতে শুরু করে দিল . তাই দেরি না করে টেন্ট ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লাম বাতাসের অল্প অক্সিজেনের সাথে শরীর টাকে খাপ খায়াতে হবে, এটাই এক মাত্র ঔষুদ . হাতে অনেক সময় থাকলেও করার কিছুই নেই তাই গল্প করতে করতেই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে এল . সন্ধ্যে ৭টার মধ্যে ডাল, ভাত, সব্জি আর ডিম ভাজা দিয়ে ডিনার সারা হল . আজ পরিশ্রম ভালই হয়েছে তাই ঘুম টাও ভালো হল . ৩ টের এলাম বাজার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেল কিন্তু স্লীপিং ব্যাগ থেকে হাত-পা বার করা যাচ্ছে না প্রচন্ড ঠান্ডা . কোনমতে বোতল খুলে এক চামচ ডাবর হানি মুখে পুরলাম কিন্তু ঠান্ডার চোটে ডাবর হানি ক্যান্ডি’তে পরিনত হয়েছে তাই অগত্তা চুসেই খেতে হল . স্লীপিং ব্যাগ থেকেতো বেরোলাম তবে বাঙালির একটা সভাব আছে চোখ খুললেই নেচার’স কল, তার জন্য তো টেন্টের বাইরে বেরোতে হবে . এই সময়ের জন্য এটা খুবই কঠিন কাজ তবে করতে হবেই . দিতীয় বারের জন্য ডাবর হানি’র সরনাপন্ন হোলাম . এই বারের মত কাজ টা উদ্ধার হল . জিও ডাবর হানি! 

view from Dzongri
৪ টের মধ্যে টেন্ট ছেড়ে বেড়িয়ে পড়লাম জংরি টপ’এর রাস্তায় . রাতের অন্ধকারে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করলাম, স মিলিয়ে প্রায় জনা কুড়ি হবে . একের পর এক খাড়াই পাহাড়ের চুড়ায় উঠছি আর সামনের দৃশ্য পট উন্মুক্ত হয়ে চলেছে . বাম দিক থেকে ডান দিকে খাং, রিঙ্ক, সাংরি, ককথাং, ফেরি, রথাং, কাবরু গ্রুপস, কাঞ্চনজংঘা, শিম্ভো, পান্ডিম সব কটি এক সারিতে দাঁড়িয়ে আছে . রথাং, কাবরু  সূর্যের প্রথম আলোতে রক্ত বর্ণ ধারণ করেছে . একের পর এক সবার মাথাই রক্ত বর্ণ ধারণ করল . প্রচন্ড জোরে বাতাস বইছে ঠান্ডায় হাত বার করা যাচ্ছে না ছবি তোলার জন্য . তবে এই মুহূর্ত কে ক্যামেরা বন্দী না করতে পারলে সারা জীবনের আপসোস থেকে যাবে . আসতে আসতে তুষার শৃঙ্গ রক্ত বর্ণ থেকে সোনালী ও সাদা হতে থাকলো . মুহুর্তের মধ্যে এক ফালি রোদ আমাদের গায়ে এসে পড়ল সরীরের সকল জরতা কেটে গেল . এখানে প্রায় এক ঘন্টা সময় কাটালাম যা সারা জীবনে এক মূল বান সঞ্চয় হয়ে থেকে যাবে . এটা সারা জীবন আমাকে মনে করিয়ে দেবে আমি নিজের শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতার গন্ডি পেরিয়ে কি করতে পারি . এবার ফেরার পালা................

If you want to do this trek as classic style then go with following schedule. It is the best schedule to do this trek.


Day 1: Getting to Yuksom, drive from NJP to Yuksom (6 hrs)

The Goechala trek starts at Yuksom, a fairly large settlement in West Sikkim. It was once the capital of Sikkim, so the culture in the town shows. It is also a nice quaint hill station and for those who want to avoid the hustle bustle of Darjeeling, Yuksom is a nice gateway. There are plenty of hotels in various budgets so staying is not a problem. A decent room with a shared bath works out to about Rs 300. The costlier rooms are around Rs 1,500.If you are on the Goechala trek there are two important things to do at Yuksom. One, make an entry at the police station. For this you need a photo identity proof with three photo copies. Two, you need to pay the permit fees at the forest check post (usually trekkers do this in the morning when they are starting the trek). The fee to be paid is broken down into small elements like tent, porter, yak and other charges. It can get somewhat confusing, but the net amount will boil down to about Rs 700 per person.Foreigners have it slightly more difficult. First, foreigners cannot trek alone; they need at least a partner. Two, they need to get a trekking permit from Gangtok (which usually their trekking agency will organize). Three, foreigners have to do the trek with a trekking agency – they cannot trek on the trail by themselves. Finally, once they enter Sikkim from any highway, their papers are going to be checked at the border.Yuksom is also the last place to buy provisions for the trek. So stock up well before you start the trek. You get almost everything at Yuksom so there really isn’t any need to buy things at Siliguri, Kolkata or Gangtok.



Day 2: Yuksom (5,700 feet) to Sachen (7,200 feet). 4 - 4 ½ hours.
Note: Most trekkers like to trek from Yuksom to Tshoka in a day. This makes the trek very long and the altitude gain too much. A sensible way to trek is to break the trek at Sachen as described here.From Yuksom, the Goechala trail starts just behind the houses after the forest check post. Cross the last few huts of Yuksom and skirt around the fields of Yuksom to enter the V shaped valley of the Rathong river (many mistake it for the Prek – earlier Prek and Pha Khola merge to form the Rathong).The trail, though passing through the fringes of the forest is exposed for about half hour. Midway through the exposed trail, look for a shelter on your right. From here onwards it is half hour to the first bridge over the Pha Khola.By the time the trail gets to Pha Khola, you are well into the thick of the forest and the coolness envelopes you at all times. The gently undulating trail climbs gradually.The next hour and half is a pleasant walk through the moist jungle until suddenly on your left the Tshushay Khola falls in a series of mini waterfalls joining the Prek below. 50 meters later a large iron bridge spans the Tshushay Khola. After the bridge the trail begins to climb more noticeably.An hour later watch for another small cement bridge over the Mentogang Khola (you won’t find a board telling you the name). You are already at 7,100 feet and it is only twenty minutes from here to the log hut of Sachen.Sachen at 7,200 feet is a small clearing where a single log hut and a shelter on the trail exist. The log hut a few meters below the trail. The hut has room enough for about 6-7 and a small area to cook. For a larger team look for the clearing just above the trail opposite the shelter. The Prek, is many feet below Sachen and not visible to the eye, though you can hear it faintly rushing below.

Day 3: Sachen (7,200 feet) – Tshoka (9,650 feet). 3 ½ - 4 hours
This is a short trek, but the altitude gain is considerable. Trekkers love the initial amble through the forest – it gives them a chance to loosen up before the stiff climb to Bakhim from the bridge over Prek.The trail out of Sachen undulates but maintains an even altitude, in fact gaining a few feet until 45 minutes and 2 kms later you drop down to the bridge over Prek. The clear water of the Prek is worth savoring. You don’t meet the river until three days later at Kockchurang.The wooden bridge over Prek sways when you walk over it. Adorned with multitude of prayer flags wishing success to the expedition -- it signals the start of the real climbs of the Goechala trail – climbs that stay with you until you get to Goechala.Take the trail that begins to climb to the left of the bridge. The trail climbs sharp through a mixed oak forest until the wide switchbacks level somewhat half hour later at the sight of the first Rhododendrons. The altitude gain is rapid and the air gets cooler perceptively. Soon the trail climbs to the ridge and stays there until you get to Bakhim another half hour later. From the Prek it takes an hour to get to Bakhim (the total distance is only a kilometer but feels a lot longer).Bakhim has a Forest Rest House and some trekkers like staying at Bakhim – simply for its view of the Yuksom valley. Finding the caretaker is a struggle and most trekkers move on to Tshoka which is another hour away.Bakhim has a lovely tea stall where the owner dishes out some snacks as well. With a well deserved rest start your climb to Tshoka. Follow the trail just behind the Forest Rest House. The trail again climbs in a series of long switchbacks, overlooking Bakhim until forty minutes later it dives around a ridge to move to the other side of the hill.At over 9,000 feet high, Rhododenderon trees abound everywhere. The trail gets dark from the overhanging trees and meanders for another ten minutes. It suddenly pops out to a plateau and the trekkers hut of Tshoka. There’s also a flat camping area to the left of the trekkers hut. The trekker’s hut is a pretty long wooden building that has four rooms – enough space to house more than 20 trekkers. Alternatively, trekkers can stay at the Forest Rest House slightly uphillSpend some time exploring Tshoka. Slightly uphill are the cafes where trekkers can try the local malt beer Tumba. The local Yak cheese is another delicacy but it takes time to get used to the taste. It is rock hard too! Ask the café owners for the keys to the monastery.Follow the trail as it leads out of Tshoka, cross the small wooden bridge over the pond and head to the monastery. It is a quiet place worthy of a quick visit. But what will take your breath away is the view of the snow clad peaks of the Kanchenjunga range stretching right behind you – with Mt Pandim dominating the skyline. For most trekkers this is the view of the day.

Day 4: Tshoka (9,650 feet) – Dzongri (12,980 feet) via Phedang (12,050 feet). 5 - 6 hours.
For most trekkers this day is perhaps the highlight of the Goechala trail. Everyone looks forward to the trek this day. For one, they trek through some of the densest Rhododendron forest India has to offer, and second, on the trail, suddenly the views open up to showcase the might of the highest mountains in Himalayas.Like yesterday, climb up to the little pond leading to the monastery, and then follow the trail that runs to its right. The trail begins to climb sharply and within minutes Tshoka is a tiny hamlet below you. Red Rhododendron trees spring up everywhere. If you are in season when the flowers bloom (May 1st/2nd week), then the entire slope lights up with a fiery red colour.After a stiff climb for about 30 minutes, the trail evens out to a gradual climb. The trail changes to one paved over wooden logs. It is a delight with Rhododendrons fanning the path. Little wooden benches line on either side of the trail – which makes the trail look like it is in a park. Sometimes mist filter in surreally through the Rhododendron trees – but even in the magical setting the trail climbs throughout and trekkers feel the altitude. The log path gives way to a regular stony trail that climbs quickly to Phedang in 20 minutes.Phedang at 12,000 feet is a large clearing with superb views of the snow clad mountains. A log hut and a few wooden benches dot the landscape. Stop here for lunch and a well deserved rest. The trail forks at Phedang with one that goes right, leading to Kockchurang. Water is available from a spring slightly lower on the trail to Kockchurang.Take the trail to Dzongri that starts across the clearing. The trail starts to climb immediately along the dwarf rhododendrons that line the slope. The views start getting better with every step, but watch for a few muddy patches on the trail. After a bout of rain you need to skip your way around them. It is a ridge climb, so the trail switches between the alternating sides of the hill. Watch for the view change between the Pandim ranges and the Kabru. An hour later the climb tops at a shrine with multitude of prayer flags. This is the highest point of the days trek at 13,080 feet.Take a brief rest at the shrine and follow the trail that gently descends towards Dzongri. For most parts the trail undulates with the first patches of snow lining the roots of the dwarf rhododendrons around you.The Dzongri trekkers hut appears suddenly at the bend in the trail. A gentle clear stream runs by the side of the hut. There are plenty of camping grounds around Dzongri but the hut itself can take in 30 trekkers at a time.Dzongri is a welcome sight for trekkers after the hard climb from Tshoka. At 12,980 feet trekkers feel the affect of altitude at the Dzongri meadows. Dzongri is a large cauldron, mostly meadows, surrounded in all directions by the mighty peaks of the Kanchenjunga range. In every direction is a snow peak to be looked at and admired. For most trekkers Dzongri is a reward on its own. Many finish their trek at Dzongri and head back the way they came.

Day 5: Dzongri (12980ft) to Dzongri top (13681ft)
Dzongri top is the highest point from where you get the 180 degree panaromic view of the mighty peaks of the Singalila and Kanchenjunga ranges. Dzongri top is a two hill climb from the Dzongri trekkers hut. The trek from Dzongri to Dzongri top takes about 45 mins. The sun rises at 5 a.m and you don’t want to miss seeing the first rays of sun hitting Kanchanjunga. Start your trek at 4.00 a.m with torch lights and you reach the top just as the dawn breaks.  As you climb up, the peaks of the Singalila range begin to open up and just at the bend before the top, the Kanchenjunga and its neighbours make their appearance. Witness an inspiring sunrise and spend time watching the mountains changing colours in the sun rays. Spot Thansing, the destination for the day, Lamuney and Goechala peaks below you. On the other side, the green Rhododendron slopes extend for miles. Retracing your path to Dzongri  takes 20 mins.Thansing is a meadow at the same altitude as Dzongri. The trail from Dzongri to Thansing descends a 1000ft to Kockchurang and then climbs a 1000ft to Thansing.Take the trail heading right from the Dzongri trekkers hut and go to the top of the ridge.It is a kilometer and 20 mins to the ridge top. From the ridge top you get to see Kanchenjunga, Pandim and the other peaks to the right towering over the meadows. Descend through the Rhododendron shrubs to the meadows. The meadow gently slopes down. The walk through the Dzongri meadows in the lap of the mighty mountains is as breathtaking as the view from Dzongri top.In half an hour Rhododendron shrubs occupy the slopes again. The gentle to medium descent continues over 2 hours. The Rhododendron shrubs suddenly give way to Rhododendron forest. The descent becomes steep and you lose more than 500ft. The forest is a good place to spot birds. Walk through silently and spot birds camouflaged in the browns and greens of the forest.Kockchurang springs up at the end of the descent. Just there find a route through the forest going right. It goes to Phedang. Kokchurang has a trekker hut but no real place to pitch tents. The Prekchu river flows next to the trekker hut 50 meters away. By the banks of the river, amidst the rocks 4-5 tents can be pitched. The small camp site though feels lovely. In the evening expect mist hanging over the river and the tents enveloped in the mist with the sound of the fast river below makes it a great camping experience.The trekker hut at Kokchurang has two big halls on the sides capable of handling 10-12 trekkers each and a central hall which can serve as the cooking area.From Kokchurang, walk down to the bridge across Prekchu. Spend some time on the bridge experiencing the cool breeze of the river. The water below looks icy blue. On the other bank you have the Rhododendron forest again. They flower in June but at any time, the moss lined trees with their branches spreading out in all directions make it a fairy tale walk.  There is a trekking trail but no lined path. The gradient increases and its an ascent through out. The distance between the bridge and Thansing is 2kms. By mid way forests end and the landscape becomes rocky and barren. At the end of the climb is Thansing a big meadow. There is a dilapidated trekker hut at the entrance of the flat meadow. The hut can be used as a kitchen but tents would be needed to stay. The open meadow can host any number of tents. You are right in front of Pandim and the left wall of Kanchanjunga here. Thansing can be cold in the night.
Day 6: Thansing (12894ft) to Lamuney  (13,693ft). 4.2 kms 2 hours 
 The trek from Thansing to Lamuney is an easy one. Walk through the meadows heading closer to Goechala. The trek is inspiring because the mountains come closer and closer. The meadows tend to get rockier as you move ahead. The flat gradient suddenly gives way to an ascending trail and that’s the farthest you can camp. The ascending trail heads to Samiti lake where camping is no longer allowed.

Excursion to Samiti lake 14100ft 45 mins moderate climb and back to Lamuney
You may choose to trek further to Samiti lake and spend an hour there. The trail ascends from Lamuney and it is a 45 minute stiff climb to the Samiti lake. Notice the terrain being rocky all through the ascent. The climb suddenly flattens out and the deep blue waters of the lake come into the picture. Move closer to the shore of the lake and the blue does not change. If  it is windy, the lake has waves too. Take a walk around the lake and sit besides its serene waters. The Samiti lake shores are home to mountain goats and blue birds which you are most likely to spot.
Day 7: Lamuney (13,693ft) to Goechala (16,000 ft) and back to Kockchurang. 10 - 12 hours
 This is the longest day of the trek and so start your day really early at 3 a.m to give you multiple advantages.
 - A 3 a.m start ensures that you reach the first view point or the sunrise point right in time to see the first run rays hitting Kanchenjunga.
- It also makes it easier to walk on the morains that you find after the sunrise point as the snow is still hard.
- The probability of getting good views are higher in the mornings.
- Lastly gives you enough time to go all the way to Goechala and return to Kockchurang.
Do not plan to leave earlier than 3 a.m as it is mostly not required and the lack of sleep can tend to tire out people unnecessarily.A lot of people would misguide you saying it is impossible to go further if you are late but these are not really true. Even a 5 a.m start from Lamuney can take you all the way to Goechala but you will miss out on the sunrise.The trail to Goechala goes behind Samiti lake and beyond. Mt. Pandim is always to your right and the left is also lined by huge snow walls. Climb to the ridge on top of Samiti lake and then traverse right on the narrow trail on the flank of the mountain. A bit more of a climb and you reach the sunrise or the first view point of Goechala in less than two hours from Lamuney. Mt. Pandim and to your right and Kanchenjunga raises just in front. Spend a few moments here before starting your descent to Zemathang. Zemathang is a sand bed covered with snow and gravel. From Zemathang Goechala is a climb of  about one and a half hours.Retrace your path to Lamuney, and then head to Kockchurang with your belongings. Stay at the trekker hut or pitch tents by the river at Kockchurang.

Day 8: Kokchurang to Tshoka via Phedang. 6-7 hours
 The days trek can be divided into two phases. The first from Kockchurang to Phedang – a direct trail by passing Dzongri and second, the Rhododendron forest trail from Phedang to Tshoka.The first phase is new and interesting. The trail goes on the flank on the mountain all along and you move from one mountain to another to another maintaining a constant altitude of 12,000ft all along. Kokchurang, Phedang and most of the trail, are all at 12,000ft!Take the diversion to the left inside the forest instead of climbing up to Dzongri. The trail remains mostly flat with small descents and ascents only to switch between mountains. Rhododendron trees line your way all along and the Prekchu flows below. Look left and at a number of places you get lovely views of Mt. Pandim and its neighbours. Phedang is 10 kms away and this is one of the longest trails between two known campsites. It takes about 4 hours to reach Phedang. From Phedang you retrace the descending trail to Tshoka. The days trek takes about 6-7 hours on an average.

Day 9 : Tshoka to Yuksom via Bhakim and Sachen. 6 hours
 Retrace your way from Tshoka to Yuksom. Its much faster and easier than your trek up. Sachen comes up quickly being a pure descent. From Sachen the trail goes up and down generally losing altitude. The last stretch has a few climbs which makes you wonder but its soon over and you find yourself back in the friendly Yuksom neighbourhood.

Friday, 7 November 2014

Ghatshila

Ghatshila is a town in East Singhbhum district of Jharkhand. The city is located on the bank of the River Subarnarekha (the word ‘Subarnarekha’ means golden streak), and is situated in an undulating forested area. It has been a popular place frequented mostly by people from West Bengal, who have been going there for a change of place and climate. The noted Bengali writer Bibhuti Bhusan Bandopadhyay of Pather Panchali fame was a resident of the city.  Raja Dhaval Deb's built three temples dedicated to Goddess Rankini (an incarnation of Goddess Durga) one at Rajdoha, another at Jamshedpur and the third at Rhoinibera village near Ghatshila. On the northern fringe of Ghatshila town one can climb the peak of Fuldungri to get a view of rolling hills and green valley’s fading into the horizon. According to the legend if seperated lovers pray here, they get their partners back. Visit Burudih Lake next to a tribal village settlement of mud huts painted with vibrant motifs just 17 km’s off Fuldungri.
Being Bengali I write down my personal experience in Bengali but who don’t understand the language not to wary. All information’s about this travelling location are noted in English at the end of my personal experience. So, please read it, you got your every quarry about it. If any farther information needed, go to my “contact us” page.

Burudi lake
এবছর পুজোয় অর্থাৎ 3rd অক্টোবর বেড়িয়ে পড়লাম ঘাটশিলার উদ্দেশ্যে . এ বচ্ছর পুজোর পুরো ছুটিটা হাওড়ায় না কাটিয়ে ঠিক করলাম দুদিন পুজো আর তিনদিন বেড়িয়ে কাটাব . মে’ ছোট্ট বলে বেশি দূর জায়া যাবেনা , তাই কাছা কাছির মধ্যে ঘাটশিলা টাই ঠিক করলাম . আগেথেকে টিকিট কাটার কিছু প্রয়োজন ছিল না , কারণ এখন হাওড়া থেকে ঘাটশিলা লোকাল ট্রেন চলে . শনি বার বাদে প্রতিদিন হাওড়া স্টেশন থেকে 9:55 মিনিটে ছেড়ে ২ টো নাগাদ ঘাটশিলা পৌঁছায় . নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ নবমির দিন আমাদের যাত্রা শুরু হল .
অমর দুটি পরিবার হাওড়ায় মিট করে যাত্রা শুরু হল . লোকাল ট্রেন উপঝে পরা ভির নিয়ে 10:20 নাগাদ যাত্রা শুরু করল . সবাই মোটা মুটি ভাবে বসার জায়গা পেয়ে গেলাম . দলের মোট সদস্য ছ’জন দুটি পুচকে নিয়ে . ট্রেনটা ফাঁকাই থাকে কিন্তু পুজোর জন্য ভিড়ে টাসা ছিল . যত লোক বসে ছিল তারথেকে বেশি লোক দাঁড়িয়ে যাত্রা করছিল . ট্রেকিং এর জন্য যে RIBOK এর ব্যাগ টা কিনেছি এই ভ্রমনে সেটার উদ্বোধন করলাম . গিদনি’তে একটা বড় দূর্গা পুজো হয় তাই খরগপুর থেকে ট্রেন এর ভির চরমে উঠল . অবশেষে 2:20 নাগাদ ঘাটশিলা পৌঁছালাম . স্টেশন থেকে অটো রিক্শ করে দায়ঘরা নামলাম . কিছুক্ষণ হন্যে হয়ে খোঁজার পর সেসমেস হোটেল জায়গুরু’তে উঠলাম . হোটেল ভাড়া @450 চেকইন-চেকআউট  9:00AM  টোটাল 22টা রুম আছে . আজকের দিন টা রেস্ট নিয়ে পরের দিন দর্শিনীয় জায়গা গুলো ঘুরে দেখা হবে এটাই ঠিক হল . হোটেলএ খাবার বন্দোবস্ত থাকলেও আমরা বাইরে গিয়ে ডিনার করব এটাই ঠিক হল .
Dharagiri falls
জায়গাটা বেস জমজমাট , হোটেলের সামনেই দুর্গাপূজ হচ্ছে . পুজো পান্ডেলের পাস কাটিয়ে 2 মিনিট গেলেই রেল ক্রসিং পড়বে . ওখানে আরো দুটি পুজো হচ্ছে একটা বারোআরি অন্যটা রামকৃষ্ণ মিসনের পুজো . পুজোর জন্য আস্থাই কিছু দোকানপাট বসেছে , ছোটখাটো একটা মেলা বলা যায় . সন্ধেটা পুজোর আমেজে ভালই কাটল . পুজোর ভোগ-মুগ ডালের কিছুরি আর ধোসা খেয়ে পেট ভরালাম . রাত 10 টার মধ্যে হোটেলে ফিরে যেযার শুয়ে পড়লাম .
পরের দিন সকালে উঠে দেখি সমৃদ্ধ অর্থাৎ একটা পুচকে অসুস্থ . আগের দিন মাঝ রাতে বমি করেছে এখন ভিশন জর . তাড়া তারই ডাক্তার খুঁজতে বেড়িয়ে পড়লাম . মোট তিনটি মেডিকেল স্টোর আছে , জার মধ্যে একটি হোমিওপাতি দুটি আলোপাতি . রেল গেটের এপারে দুটি ওপারে একটি , কিন্তু পুজো জন্য সব কটিই বন্দ্ধ . লোকাল বাস ধরে গেলাম ভুবন্দার 10 মিনিটের দুরুত্ব , মেডিসিন পায়া গেল . অবশেষে মেডিসিনের সাহায্যে সুস্থ হল . 10 তার সময় অটো-রিক্স করে বেরোলাম ঘুরতে .
প্রথমে গেলাম ফুলদুন্গ্রী টিলা . 100 ফুট উঁচু গাছে ভরা একটা টিলা , বেস মনোরম জায়গা . টিমের সকল সদস্য বেস এনজয় করলো . এর উপরেই বিভূতি ভুসনের স্মারক বেদী আছে . এখান থেকে অটো ছুটল সোজা বুরুডি লকের দিকে . এবড়-খেবড় রাস্তা দিয়ে অটো ছুটে চলেছে . দৃশ মনোরম লাল মাটির পাথুরে রাস্তা সামনে সারি সারি পাহাড় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে . 40 মিনিটের মধ্যে আমরা লেকের ধারে পৌঁছে গেলাম . 270 ডিগ্রী পাহাড় বেষ্টিত একটি সচ্ছ জলের লেক . এক কথায় দারুন জায়গা . এর মধ্যেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে , ঠান্ডা বাতাস বইছে . সব মিলিয়ে ফাটা ফাটি অভিজ্ঞতা . এখানে অস্থায়ী খাবারের দোকানো আছে টোস্ট , চা-কফি , তেলেভাজা এমন কি ভাত ও পায়া যায় . সামান্য টিফিন করে বেড়িয়ে পড়লাম ধারাগিরি ফলসএর দিকে .
My daughter Debadrita & Dharagiri adibasi littel vilegers
এই প্রথম অটো কতে পাহাড় চড়ার অভিজ্ঞতা হল . পাহাড় বলতে যা বুঝি একদম তাই , এক টা থেকে অন্য টা হয়ে অটো ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে . ধারাগিরি গ্রামে প্রবেশ করলাম , চারিদিকে জঞ্জল চাষের জমি . এটি একটি পাহাড় বেষ্টিত উপত্যাকা , চড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু ঘর নিয়ে আদিবাসীদের একটি গ্রাম . এখানে থাকার কোনো ব্যবস্তা নেই , থাকলে দারুন এডভেঞ্চার হত . অটো থামল , এবার 10 মিনিটের হাঁটা পথ . গভীর জঙ্গলে ঘেরা ধারাগিরি ফলস খুবই মনরম জায়গা . ঝর্নার জলরাশি তিরতির করে বয়ে চলেছে নদী খাদের উপের দিয়ে . 30 মিনিট সময় কাটাবার পর এবার ফেরার পালা . আদিবাসী গ্রামের জনা দশেক কচিকাঁচা দের আমরা লাড্ডু উপহার দিলাম . তাড়া খুবই খুশি হল , আমাদের মনটাও ভরে গেল . এবার অটো করে হোটেলের দিকে যাত্রা শুরু .........
Bhubhutibhuson's house

পরের দিনে সকালে টিফিন করার পর পায়ে হেঁটে ভিভুতিভুসনের বাড়ি আর সুবর্ণরেখা নদী টা দেখা এলাম . গভীর নদী খাদের মধ্যে পরে থাকা বিশাল বিশাল পাথর কে পাশকাটিয়ে সুবর্ণরেখা বয়ে চলেছে . নদীর ওপর প্রান্তে মসাবনী পাহাড় গুচ্ছ গুলি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে . মনরম পরিবেশ ছেড়ে আবার হোটেলের দিকে হাঁটা দিলাম . দুপুর 2:20 লোকাল চরে এবার ফেরার পালা .

Important points about this travelling location:

Train schedule for Howrah Ghatshila
12871 ISPAT EXPRESS HOWRAH 6:55 AM GHATSHILA 9:52 AM
12865 LALMATI EXPRESS HOWRAH 8:30 AM GHATSHILA 11:37 AM
18615 HWH HATIA EXP HOWRAH 10:10 AM GHATSHILA 1:29 PM
22891 HWH RNC INT EXP HOWRAH 3:10 PM GHATSHILA 6:11 PM

Most hotels are located at Daighora reasonable price @450 to 800.
Auto fare for short trip @550 (Fuldungri  hillok, Burudi lake & Dharagiri fall) & @100 (Bibhutibhuson house & Subornorekha river)

Thursday, 21 August 2014

Simultala

If you want to spend some time close to nature, Simultala can be one of the best choices. You will find the place in colours if you visit it during spring, which is the flowering season. Enjoying walks down the dusty roads on a lonely winter afternoon can also be enjoyable. It can also be the best place if you want to stare at a sky full of stars away from the pollution of the cities and towns. There's a lot of greenery and the view of the hills and mountains in the horizon will add pleasure to your eyes.

Marvel rock
In Bihar’s Jamui district there is Jhajha block where in lies a small kasba by the name of Simultala with an area of a few hundred sq. kms and a population of about 10000. Lying in nature’s lap is Simultala surrounded by the scenic beauty of the surrounding mountains. Adding to the beauty of this setting is a stream that flows by. Away from the din of the cities, is this small pollution free heavenly location where many Zamindars from Bengal had bought huge pieces of land and built bungalows. They used to visit these bungalows during favorable climate or to recuperate. Gurudev Rabindranath Tagore, Sharadchandra and many such eminent writers of those times have enjoyed the nature’s bounty at Simultala. A legend of his times, the owner of the film company “New Theaters”, Calcutta, Shri B.N. Sarkar’s bungalow at Simultala is a living testimony of its glorious past.
.
Simultala is a small station on the Delhi-Patna-Howrah Raliway route around 19 kms from Jhajha, 25 kms from Jasidih and 30 kms from Devghar. Simultala is also connected by roadways to Patna and Devghar. The journey from Patna to Simultala is an eye treat in itself what with the beautiful landscape, deep valleys, serpent like roads and the plush greenery.click for train schedule.

There are quite a few attractions in Simultala.

Lodge for stay
Patna lodge (looks like a fort), Palace of Naldanga, and lawn tennis court are the other coveted attractions of Simultala.

You can also go to the queen’s palace located on the outskirts of Simultala. Being located on the Chota Nagpur Plateau, the place is full of undulating lands and hillocks.

The Lattupahar is a popular one. You can go there and climb to the top of Lattupahar, to get a view of the village from that height. Lattupahar, about one and half km away from the Simultala railway station, at an elevation of 1000 feet, is the most imperative attraction of Simultala. The spectacle of sunset from Lattupahar is breathtaking. The shooting of the Satyajit Roy’s movie called “Surja Doba” (Sunset) was done here in Lattupahar.

Fort
Enjoy the scenic beauty around while visiting Haldi Falls, about 6 km away from the rail line. It is believed that the water of the falls have a curative power. The wilderness of the Leelabaran falls, situated at a distance of 2 km from the railway station, is worth seeing. The Siketia Ashram definitely deserves a visit. Another very popular falls here in Simultala is Dhirhara falls, situated in Bhoyenrogunj. The falls is 2 km away from Telba River and Telba River is 17 km away from Siketia Ashram.

Besides, you can also spend a day on a trip to the Dharara, which is basically a river basin. Though it remains dry through most parts of the year, if you are visiting the place in the rainy seasons, you are going to get it filled with water.

Lattu pahar
Hired a vehicle and went to the place. The road was clean and black and the weather was pollution free, so it is a pleasure to make the journey. You can be sited at the roof of the vehicle, to enjoy the wind. You can also climb up some highland at river basin. One side of the river basin is covers with "Palash" flower, it’s also known as (Flame of the Forest).

Daharara river bank
If you are looking for some luxurious hotels for staying in Simultala, you are likely to be disappointed. There is hardly any so-called hotel in this hamlet. Yet, you need to have an idea about where to stay in Simultala before you visit the place. Simultala was one of the most popular places among the Bengalis in the earlier times. Simultala was regarded as one of the most popular health resorts. Rich Bengali people used to come to this place to spend their holidays or for retrieving their health. Many of them had even constructed bungalows in Simultala. Many of these are provided on rent now-a-days. You can book any of these before going to this beautiful village in Bihar.

You may border at railway guest house which has a little 2 bedroom building. It is mostly hired to charge electronic gadgets. There have electricity so you enjoy fan and light.
If you feel the loneliness of this area, board at guest house at walking distance from station. It is a big house like palace but there have no electricity.

Useful informations
Electricity: There is no electricity even in these days in Simultala. Some of the guest houses in Simultala offer generator services. However, it is always advisable to carry candles with you while going there. You will also have to face pitch-black darkness if you plan to go outside after sundown. Hence, you should carry a torch and if possible, extra batteries.

Food: Cooking yourself while in these bungalows in Simultala can be a good option. You can also ask the caretaker to help you with this process. You can also go for the roadside restaurants that offer local dishes. Besides, this place is quite well known for different types of sweets, such as chaana-murki, gulab jamun and others. You will also get the Indian snacks, such as samosas in the small shops of Simultala.

Savor the taste of the sweetmeat called “Langcha” from the shop of Gupta. The taste of this Bengali delicacy is wonderful.
Safety: You should also stay safe, as there had been reports of Naxalite activities in the area in the past. Try not to walk into lonely forests. Staying out during the evening should also be avoided.

                                                   Sorry for take your valuable time & thanks for take a look