Annapurna Base Camp |
Annapurna Trekking is the most popular trekking trails of Nepal and even one of the best trekking in Nepal. This region lies in the central north part of Nepal is named after the popular Annapurna Himalayan Rage. Trekking in Annapurna region is the best of Nepal treks and during this trek you not only witness the panoramic views of Himalayas but equally the rich flora and fauna along with amazing blending of culture and lifestyle. Well, Annapurna Region is famous for trekking, expedition, hiking, and climbing. Evidently, Annapurna trekking trails are decorated by the nature and panoramic Himalayan scenery. Annapurna Region is diverse naturally and culturally. Annapurna Region is easily accessible from Pokhara and the region where every trekker marvels over the magnificent sceneries that the Annapurna region offers and its unspoiled biodiversity. In addition to that, you will also get to see wild animals like Himalayan Thar, Musk Deer, Leopards, and different species of birds also. The popular destinations in Annapurna Area are Annapurna Base Camp, Ghorepani Poon Hill, Jomsom Muktinath, Annapurna Circuit, and so on. Annpurna region is protected by Annapurna Conservation Area.One of the surveys undertaken by American organizations pointed out that Annapurna Region is one of the best trekking trails of the world which offers splendid varieties of natural and cultural diversity with spectacular Himalayan views including those of Annapurnas, Manaslu, Dhaulagiri, as well as Machhapuchhre. Thousands of people come to Nepal for wonderful Nepal Annapurna Trekking.
Being Bengali I write down my personal experience in Bengali but
who don’t understand the language not to wary. All information’s about this
trek are noted in English at the end of my personal experience. So, please read
it, you got your every quarry about it. If any farther information needed, go
to my “contact us” page.
আমার অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প trekking অভিজ্ঞতা ( আমি বাঙালি বলে বাঙলায় লিখ লাম )
২০০৬ এ প্রথম সান্দাকফু ট্রেক করার পর মন
চাইছিল নতুন কোনো ট্রেকের সন্ধান। আমাদের ইকুইপমেন্ট অর্থাৎ ট্রেকের অক্সিজেন জে জোগান দেয় "অধীর
দা " সে
বলল তোরা কেন অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প যাচ্ছিস না। তা একদিন ঠিক হল অধীর দা আসবে
তার গুরু তুহিন দা কে নিয়ে।
আমরা, অর্থাৎ চার জন কাঞ্জিলাল ( ক্যাপ্টেন ), তামঘ্না
, মোটা ভাইপ ( শুভেন্দু
), আর স্নেহাদ্রী
(আমি) মিলে
ঠিক করলাম এক রবিবার দেখে মিটিং হবে। দিনের দিন অধীর দা জানাল আসতে পারবে না কিন্তু
তুহিন দা আসবে। তুহিন দা একজন প্রবীন । প্রথম দিনেই তিনি আমাদের সঙ্গে মিশে গেলেন।
তিনি তার অন্নপুর্নার স্লাইড শো দেখালেন -এক
কথায় অসাধারণ। তার থেকই আমার জানলাম কিভাবে ট্রেকটা করতে হবে কোনো গাইড
পোর্টার ছাড়াই।
Pokhra Dam side |
প্রথমত নেপালে ঢোকার দুটি রাস্তা আছে বিহার আর
পশ্চিম বাংলা দিয়ে। তিনি বললেন বাংলা দিয়ে যাও ওটাই সুবিধা জনক। ট্রেনের
টিকিট কাটতে হবে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুরি -সেখান
থেকে ট্রেকার বা অন্য গাড়ী ধরে
পানিটান্কি ( বর্ডার
ইন্ডিয়া সাইড ) হয়ে কাঁকরভিটা ( বর্ডার
নেপাল সাইড ), দিতীয়ত ইন্ডিয়ান ১০০ টাকা বা তার কম টাকার নোটই
নেপালি সরকারি ব্যাঙ্ক এক্সচেঞ্জ করে তাই সব টাকাই ১০০ বা
তার নিচের নোটে হতে হবে। তৃতীতত ACCAP থেকে
permission
করাতে হবে এই ট্রেকের জন্য।
মে মাসের সেসের দিকে এক রবিবার আমরা যাত্রা
শুরু করলাম। সবাই এক জোট হলাম কাঞ্জিলাল দের বাড়িতে সেখান থেকেই আমাদের যাত্রা
শুরু হল। প্রথমে রিক্স করে সাঁকরাইল স্টেশন
, সেখান থেকে লোকাল ট্রেন ধরে হাওড়া। কামরূপ
এক্সপ্রেস পরেরে দিন সকাল ৬নাগাদ
আমাদের নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনএ
পৌঁছে দিল। সময় নষ্ট না করে আমরা ট্রেকার ধরে কাঁকরভিটা পৌঁছালাম
৭ নাগাদ ;ভাড়া জন প্রতি ১০০ টাকা । লোকাল একটা গাইড ধরলাম নাম রাজু। সে একটা
হোটেলে নিয়ে গেল "হোটেল
তাজমহল " মাত্র
১০০ ইন্ডিয়ান টাকার এক বেলা থাকার ঘর পায়াগেল। এক এক করে
ফ্রেশ হবার পর আমরা প্রথমে ব্যাঙ্কএ গিয়ে টাকা এক্সচেঞ্জ করালাম ইন্ডিয়ান থেকে
নেপালিতে ; পদ্ধতিটি খুব সোজা যেকোনো কারেন্সী দাও নেপালি কারেন্সী পাও । এর পর একটা ট্রাভেল এজেন্সীতে রাজুর সঙ্গে
গেলাম বাসের টিকিট কাটার জন্য; কাঁকরভিটা থেকে পোখরা নাইট সার্ভিস। এর
পর শুধুই আপেক্ষা বিকেল হবার ।
বিকেল ৫:৩০ বাস ছুটে চল্লো, মোবাইল সিগনাল
হারালো । রাস্তার ধরে কোনো ইন্ডাস্ট্রি বা চাষের জমি
চোখে পড়ল না শুধুই ধুধু প্রান্তর । মাঝে মাঝেই বড় রিভার ক্রসিং ব্রিজ আর সরু সরু
নদী বয়ে চলেছে । বাসে খুব ভিড় হয়েছে অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে,
নেপালি ফোক শুনতে শুনতে আমরা চলেছি আজানা ফথের আহবানে । হঠাৎ
নেপালি গান চেঞ্জ হয়ে কিশোরে লতার অমর অক্ষয় সেই সব গান শুরু হল ‘কাঁচি রে কাঁচি
রে .......রুক যা না যা দিল তর কে ......
রাত্রি বেলা বাস চলেছে পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে । আকাশ
ঝক ঝক করছে তারায় রাস্তা ঝল মল করছে স্ট্রিট ল্যাম্পএর আলোতে । ভোরের
বেলা ঘুম ঘুম চোখে দেখি আকাশের মুখ ভার । কাঞ্জিলাল বলল “আর কোনো দিন
মে মাসে ট্রেক করব না রে পিকু (অমর ডাক নাম)“. সকাল ৭:০০ টা পৌঁছালাম পোখরা বাস
স্টান্ডে । সিঁড়ি দিয়ে উঠে গেলাম প্রিথিরাজচকে এখানেও
হোটেল “তাজমহল”। ফ্রেশ হবার পর আমরা বেড়িয়ে পড়লাম ACCAP-পোখরা
damside এর উদ্দেশে । ইন্টার সিটি বাসগুলো বড় মারুতি ভ্যানএর মত ।
অনেকক্ষণ হন্যে হয়ে খোঁজার পর অবশেষে ACCAP পেলাম । জন
প্রতি ২০০ নেপালি টাকার বিনিময়ে ফটো যুক্ত permission আমরা হাতে পেলাম ।
Devie's fall |
শহরটা পায়ে হেঁটে ঘুরলাম, গেলাম “ডেভিসফল” । তার পর হোটেলে ফিরে লাঞ্চ
সেরে একটা লম্বা ঘুম ।পরের দিন ভোর ৫:০০ টা হোটেলের উল্টো দিকের বাসস্ট্যান্ড থেকে লোকাল বাসধরে যাব
“ফেদী”। মাত্র ১৫০ নেপালি টাকার
বিনিময়ে বাস যথাস্থানে পৌঁছেদিল । এবার সব খরচ নেপালি টাকাতেই করতে হবে । চা বিসকুট খেয়ে ৬:০০ তে ট্রেক শুরু
হল, ৬০ ডিগ্রী খাড়াই সিঁড়ি ভাঙ্গতে হবে এটাই নাকি এই ট্রেকের মজা অথবা সাজা ।
ফেদী থেকে লোয়ার
দেওরালি
রাস্তা অনকে লম্বা, চড়াই নাহলে উতরাই, জঙ্গল মাঝে ছোটো বড় গ্রাম আর পুরোটাই পাথুরে সিঁড়ি উঁচু উঁচু স্টেপ – এই সব অতিক্রম করেই আমরা এগিয়ে চলেছি । আকাশ মেঘে ঢাকা শুধু নৈসর্গীয় প্রাকিতিক সৌন্দর্য যা বর্ণনা করে বোঝানো যাই না । আর আছে জোঁকের আতঙ্ক, যেন এক জোঁকের রাজ্যে অনুপ্রবেশ করেছি, রীতি মত তাড়া করছে । এই ভাবেই জঙ্গল নদী পাহাড় পর্বত পেরিয়ে ঘন্টা পাঁচেক হাঁটার পর অবশেষে দেওরালি দেখাগেল ।
Towards Dhampush |
মাত্র দুটি ট্রেকার্স হার্ট । কাঠের দোতলায় একটি ঘর পেলাম মাত্র ১০০ টাকার
বিনিময়ে তবে ঘরটি খুব ছোটো আর ঘরের মধ্যেও জোঁক আছে । ঘরের সামনে পাথরের বাঁধানো উঠান চেয়ার টেবিল
পাতা । এখানে
বসে গল্প করছি হঠাৎ মেঘ
সরেগেল ফেওয়া লেক আর পোখরা সহরের কিছুটা অংশ পরিস্কার দেখাগেল –অসাধারণ মুহূর্ত
“যেন নাটকের রঙ্গমঞ্চ হতে যবনিকার ধীর গতিতে উত্তোলন” । খাবার বেশ দামি ভাত ডাল সবজি মিল ১৫০ টাকা
প্লেট । ডাইনিংরুমটা খুব সুন্দর খাদের উপর ঝুলন্ত চারি
পাসে কাঁচের জানালা দিয়ে মোড়া আর কেরোসিনের টিমটিমে আলো । রতের মেনু মোটাচালের ভাত, কালো ডাল (রংটা
কালচে হলুদ), লোকাল সাগের সবজি (পুরো সব্জিটাই একটাই সব্জি স্টিক রোল করা), পাঁপর
আর আচার – কন্টিনেন্টাল রাইস প্লেট মন্দ নয় । রাত্রে ঘুম হল অল্প, সারারাত প্রচন্ড বৃষ্টি
হল সকালেও আকাশ পরিস্কার হল না তবে ধুলিগিরি আর অন্নপূর্ণা পরিস্কার দেখা যাছিল । আমাদের পাসের ঘরেই এক ইসরাইলই মহিলা ছিল –
সারারাত সে ঘুমোতে পারে নি ভযানক অভিজ্ঞতা – ঘরের সিলিং থেকে জোঁক ঝুলছে । আমাদের ঘরেও তাই ছিল কিন্তু চেক করিনি বলে,
জানতেও পারিনি । তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি পা’থেকে জোঁক
ছাড়িয়ে ফেলেছি খুব একটা গুরুত্ত দিইনি কারণ আগের দিন থেকেই যেভাবে জোঁক আক্রমন
করছে, যে ঘটনাটি গুরুত্ত হারিয়েছে । এই ট্রেকটা যারা একবার করবে তাড়া সারা জীবনের জন্য জোঁক
দেখলে আর ভয় পাবেনা । যাই
হোক চা বিসকুট খেয়ে পরবর্তী গন্তব্য ছমরঙ এর জন্য আবার পথে বেড়িয়ে পড়লাম ।
লোয়ার দেওরালি থেকে
ঝিনু
Near lower Daorali |
দিনের শুরু থেকেই মাঝে মাঝেই
বৃষ্টি হচ্ছে, জোঁক রাস্তায় কেঁচোরমত কিলবিল করছে । একটা কথা আগে বলা হয়নি – ট্রেকটা এত কম উচ্চতা থেকে
শুরু যে ৩ দিন শুধু রেইন ফরেস্টের মধ্যে দিয়ে রাস্তা । চারিদিকে অপুস্পক
উদ্ভিদ এর ছড়াছড়ি, মূলত ফার্ন জাতীয় গাছ খুব বড়বড় যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা
যাবেনা । দিনের শুরু থেকেই এত সিঁড়ি দিয়ে নামা পায়ের পেশিতে
টান ধরেছে । একটা লোহার ক্যাবল ব্রিজ ক্রস করেই রাস্তা প্রায়
সমতল হয়েগেল, সামনেই তোলকা । হালকা টিফিন করে আবার হাঁটা দিলাম ।
Towards Tolka |
রাস্তা প্রায় সমতল জনবসতির মধ্য দিয়ে হাঁটা । সামনে অন্নপূর্ণাকে মেঘের আড়াল থেকে আংশিক দেখা
যাচ্ছে । প্রায় হটাথই রাস্তায় চার জন ট্রেকারের দেখা পেলাম,
তারা বাঙালি হাওড়া শিবপুরথেকে আসছে । তাদের মুখেই শুনলাম রাস্তায় এখন অনেক বরফ আছে,
অনেকগুলো আইসব্রিজ টপকাতে হবে । এই সব শুনে আমাদের
হাঁটার গতি বেড়ে গেল । আকাশ আবার মেঘলা
হয়ে আসছে, যখন তখন বৃষ্টি নামতে পারে । যখন আমরা ঝিনু থেকে
প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে ঠিক সেই সময় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হল । বৃষ্টির মধ্যেই আমরা চড়াই ভাঙ্গতে শুরু করলাম । শরীর আর বইছেনা, কোনোমতে নিজেদেরকে টানতে টানতে
ঝিনুতে নিয়ে গেলাম । এখানেও ২’টি ট্রেকার্স হার্ট আছে, প্রথমটিতেই আশ্রয় নিলাম । কাঠের দোতলায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি ঘর
পেলাম ২০০ টাকার বিনিময়ে । এখনে
একটি হত স্প্রিং আছে ১ কিলোমিটার দূরে, আমাদের শারীরিক কষ্টের জন্য আমরা যেতে
পারিনি । সেদিন রাতে ভাত না খেয়ে চাউমিন খেলাম । ডিনার টেবিলে কিছুক্ষণ কাটাবার পর যে যার শুতে
চলে গেলাম । অবাক কান্ড পাশের ঘরে চলছে প্রকিতির আদিম ঋপু,
সহবাস । কোনো দুই বিদেশী তাদের নিঃসঙ্গ একটি রাতকে চরম
শারীরিক জালা মেটাবার মুহূর্ত হিসাবে নিশ্চিত করেছে । আমরা বোকা হাঁদার মত বসে বসে সেই সমস্ত
শীত্কারের ধ্বনি শুনে চলেছি, প্রায় আধঘন্টা পরে মহাভারতের যুদ্ধ শেষ হল । অভিজ্ঞতা অনেকটা পিকচার অফ মোডে পর্ন দেখার মত
। যাইহোক আজরাত্রে ঘুম ভালই হল, পরের দিন সকালে
আবার একই ভাবে হাঁটা শুরু ।
ঝিনু থেকে
বাম্বু
From Upper Chamrang |
আমরা আগের দিন
থেকেই জানতাম ঝিনু থেকে ২০০০ সিঁড়ি
চড়লে তবেই ছমরঙ পৌঁছোবে। আজ আকাশ পরিস্কার আছে। দিনের শুরুতে শরীরে অনেক এনার্জি
থাকে বলে, চড়াই ভাঙ্গতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। ২ ঘন্টা পরে আমরা আপার ছমরঙে
উঠে এলাম। সামনে অন্নপূর্ণা আর মচ্ছপুচ্ছ অর্ধপরিস্কার ভাবে দেখাযাচ্ছে। এখান
থেকে অন্নপূর্ণা যাবার বা ফেরার রাস্তা একটাই। ছমরঙ অনেক দিক দিয়েই আসা যায়, যেমন
ফেদী থেকে, সাহুলি বাজার দিয়ে অথবা পুন হিল হয়ে। কিছুটা রেস্ট নেয়ার পর নামতে
শুরু করলাম লোয়ার ছমরঙের দিকে। ছমরঙ একটা খুব বড় গ্রাম, লোকবসতি, চাষাবাদ, দোকানপাঠ,স্কুল,
বিদ্যুত সংযোগ, এমন কি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড আছে।
Chamrang river at lower Chamrang |
প্রায় ১০০০ সিঁড়ি ভেঙ্গে নামার পর
চোখে পড়ল ছমরঙ নদী, রিভার ব্রিজ টপকে আবার ওঠা সিনুয়া পর্যন্ত। আবার প্রায় ৫০০
সিঁড়ি চড়তে হবে। সিনুয়া পৌঁছে এনার্জি শেষ, এক পেয়ালা করে গরম চায়ে গলাটা ভিজিয়ে
নিলাম। আমাদের আজগের পুরো রাস্তাটা একটা বড় M অক্ষরের মত। আকাশের অবস্থা ভালো
নয়, বৃষ্টি পড়ল বলে। তাড়াতারি হাঁটা দিলাম, কিছুটা সিঁড়ি ভেঙে নাম্বার পর রাস্তা
প্রায় সমতল। ইতি মধ্যেই টিপ টিপ করে হওয়া বৃষ্টি প্রচন্ড গর্জন ও বর্সনের রূপ
নিয়েছে। কাক স্নান করতে করতে অবশেষে বাম্বু’তে প্রবেশ করলাম। মাথা গোঁজার জায়গা
হল একটি একতলা ঘরে, ঘরের মেঝে আর কোমর পর্যন্ত দেয়াল পাথরের উপরের দিকটা কাঠের। আজ রাতের মেনু ভাত-ডাল-তরকারি। ডিনার টেবিলটা খুব বড়, ওদের পরিবারের সাথে বসেই
ডিনার সারা হল। বাঁধাকপির একধরনের সুপ সার্ভ করাহয়েছিল আমাদের, অসাধারণ খেতে। পরেরদিন
সকাল সকাল আবার হাঁটা শুরু......পথের যেন শেষ নাই।
এবার বুঝলাম অভিগতার দাম , তার অভিগতায় আজ তার
প্রাণ রক্ষা করলো । পাশেই নদীর ওপরে কাঠের গুঁড়ি ফেলা আছে আমরা নদীটা টপকালাম .
সামনে দেওরালি দেখা যাচ্ছে, আমাদের দুই সদস্য ওপর থেকে হাত নাড়ছে । আমরা দেওরালি
ঢোকার পর জানতে পারলাম আমাদের দুই সদস্য আইস ব্রিজ টপকেই গিয়েছিল। আমরা বুঝদে
পারলাম খুব বড় একটা অঘটনের হাত থেকে আমাদের দুই বন্ধু রক্ষা পেয়েছে, ভাগ্যের জোরে। ২৮০ টাকার বিনিময়ে একটা ঘর পাওয়া গেল। ঘরের সামনে পাথরের বাঁধানো উঠোন, ভলি
খেলা চলছে । সামনের পাহাড় গুলো সারি বদ্ধ ভাবে একই এঙ্গেলে কাত হয়ে আছে, অদ্ভুদ
গঠন । কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই জায়গাটি নিমজ্জিত হল মেঘের মধ্যে, চারি দিক অন্ধকারে
থাকা পড়ল। আবার পরিস্কার চারি দিক ঝক ঝক করছে। সামনের পাহাড় গুলোতে বরফ পড়ে সাদা
হয়েগেছে । আজ রাতের মিল ভেজ রাইস । আজকের দিনটা ভালই কাটল, কারণ বৃষ্টিতে ভিজতে
হয়নি। পরের দিন ভোরের বেলাতে হাঁটা শুরু করলাম।
এই মনমুগ্গ্ধকর অপার্থীব দৃশ্য আজ আমাদের জীবন যাত্রাকে সফল করল । বেস ক্যাম্প এর ডান দিকে রয়েছে সুদূরপ্রসারী অন্নপূর্ণা গ্লেসিয়ার। বেস কাম্পে “ক্লোদিয়ার”
স্মৃতিফলকে মোমবাতি জালিয়ে দিলাম। পরের দিন সকালে মেঘমুক্ত আকাশে সূর্যোদয় দেখলাম। প্রথম আলো পড়ল অন্নপূর্ণা ১ এর মাথায়, তার পর অন্নপূর্ণা সাউথ – একেবারে পিওর
গোল্ডেন, যেন সোনা দিয়ে বাঁধানো । এর পর আলো নামার পালা ।
বাম্বু থেকে আপার
দেওরালি
দিনের শুরুরদিকে রেইন ফরেস্ট
থাকলেও কিছু সময় পর থেকে তা হালকা হতে শুরু করে দিল। আজ অনেক গুলো পাহাড়ি ঝর্না
টপকাতে হল । কোনটি বেরিয়ে আসছে জঙ্গলের বুকচিরে, আবার কোনটি পাথরেরগা বেয়ে । খুব
তাড়া তারই হিন্কু কেভ পৌঁছে গেলাম । গুহাটি আকারে খুব বড় কিন্তু, গুহার মুখ
স্থানীয় বাসিন্দারা বন্ধ করে দিয়েছে । অনেক টুরিস্ট এখানেই রাত্রি বাস করত, গেস্ট হাউস
কার্যত পর্যটক হীন থাকত, এটাই গুহার মুখ বন্ধের এক মাত্র কারণ । কিছুদূর যাবার পর
প্রথম আইস ব্রিজ দেখাগেল, আমরা ওটা টপকে যাব যাব করছি এমন সময় এক পোর্টার উল্টো
দিক থেকে ওটার উপরে চড়ল । কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আবার নামতে শুরু করলো । বাপার
টা বুঝে ওঠার আগেই আইস ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ল নদীতে, প্রচন্ড শব্দ হল “গুরুম” করে ।
Ice bridge crossing |
আপার দেওরালি থেকে
অন্নপূর্ণা বেস ক্যাম্প
আজকের পথে আর গাছেদের দেখা
পাওয়া গেলনা । দুদিকেই খাড়া দেয়াল উঠে গেছে । অনেক উঁচু থেকে এক জোড়া ঝর্না ঝরে
পড়ছে, তাদের জলরাশি হওয়াতেই বাস্পীভূত হয়েযাচ্ছে । চোখের সামনের এক ফালি জায়গা
দিয়ে আকাশ আর কিছু নাম না জানা শৃঙ্গ দেখা যাচ্ছে । যত সামনের দিকে যাচ্ছি দৃষ্টি
পথ ততই উন্মুক্ত হচ্ছে। সামনের পাহাড়ের গা বেয়ে গড়িতে আসা আইস ব্রিজ আমাদের
রাস্তা আঁটকে দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের আগের দিনের চরম অভিজ্ঞতা ব্রিজ টপকানোর বাধা
হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনো মতে এক এক করে আমরা ব্রিজ টপকালাম।এই ভাবে পর পর ৩টি বড় বড়
আইস ব্রিজ টপকাতে হল। ছমরঙ নদীটি কখন যে পাথরের নিচে দিয়ে বইতে শুরু করেছে টা
বুঝতেও পারলাম না । ঘন্টা দুই পর আমরা মচ্চপুচ্ছ বেস কাম্পে পৌঁছালাম । সামনে তুষার শৃঙ্গ পিছনে আইস ব্রিজের সারি ডান দিকে অন্নপূর্ণার রাস্তা চলে গেছে । অন্নপূর্ণার দিকে কিছুটা যাবার পর শুরু হল বরফের রাজত্ব, বেস ক্যাম্প পর্যন্ত পুরো
রাস্তাটাই বরফে ঢাকা । চারি দিকে চোখ মেলে দেখলাম.......
“ সামনে অন্নপূর্ণা পিছনে মচ্ছপুচ্ছ, দুপাশে নাম না জানা অসংখ পর্বত-তুষার শৃঙ্গ আর পায়ের নিচে সাদা বরফের চাদর, উন্মুক্ত আকাশে মেঘেরা ভেসে চলেছে, ফেলে আসা পথের কোন অস্তিথ আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কারণ তারা মেঘে ঢাকা পড়েছে – এ যেন মেঘের বুক চিরে সর্গের পথে উঠে এসেছি, সর্গযাত্রা করছি”
Sunrise from ABC |
Important points about this trek
- কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাবার ট্রেন পথ
- Information about Pokhra ACCAP – address “Nepal Tourism Board, Tourist ServiceCentre, Pardi Damside”
- Special requirement 2 passport size photograph for ACCAP permission copy. It’s must be with you.
- If you bring any electronic device like mobile phone, camera, tabs, laptops, please listing the items in the check post or border crossing that proves you are not buying those items from Nepal.
- For Indians, please bring only Rs100 and below currency for exchange purpose.
- Bring medicine with personal use tagging to avoid hazards in border crossing. And doesn’t taking any picture of border check post it violate the national security.
- Bus services from Pokhra to other city of Nepal & exit points from Nepal are frequently available from Prithirajchak.
- Basic requirements for this trek.
- Basic knowledge about altitude sickness.
- Don’t participate in any road side or local gambling event. If you want gambling, visit casinos’.
- Policy or rule “Never dispose any garbage material in the open place, always use proper disposal port. Never dispose any plastic material during the trek, it’s killed the nature. Please conserve Himalaya for future explorers”.
If you want to do this trek as classic style then go with following schedule. It is the best schedule to do this trek.
- Pokhara- Tirkhe Dhunga
Drive to Nayapul via the large village of Lumle and then start our trek to
Birethanti, a large and prosperous town. The path follows the main trail to
Sudami where you climb steadily up the side of the valley, reaching Hile
(1495m) before pushing on to Tirkhe Dhunga.
- Tirkhe Dhunga - Ghorepani
From Tirkhe Dhunga the trail crosses a stream and then ascends a steep stone
staircase to the large Magar village at Ulleri (2070m). You trek through
rhododendron and oak forests and across streams before making a short, final
climb to Nangethanti. From Nangethanti you trek up to Ghorepani (2850m).
Ghorepani - Poon Hill - Tadapani
You rise very early and start our climb to Poon Hill (3195m). A brilliant spectacle, this vantage point provides an unobstructed view of sunrise over the high Himalayas. From Ghorepani the trail climbs along ridges and through pine and rhododendron forests to Deurali (2960m). You descend to reach Banthanti, then wind your way to Tadapani (2540m).
You rise very early and start our climb to Poon Hill (3195m). A brilliant spectacle, this vantage point provides an unobstructed view of sunrise over the high Himalayas. From Ghorepani the trail climbs along ridges and through pine and rhododendron forests to Deurali (2960m). You descend to reach Banthanti, then wind your way to Tadapani (2540m).
- Tadapani - Chhomrung
From Tadapani the trail drops down through rhododendron and oak forests,
arriving at Chhomrung. Chhomrung is a Gurung Village, and the highest permanent
settlement in the valley with tremendous view across to Annapurna South and
Machhapuchhare.
- Chhomrung - Dovan
The trail descends via a stone staircase and then crosses the Chhomrung Khola.
You climb high above the Modi Khola on its west bank, passing through forests
of bamboo, rhododendron and oak. The trail now climbs to Kuldi, before
descending a long, steep, stone staircase to Dovan.
- Dovan - Annapurna Base Camp
From Dovan the trail climbs high above the river, on to the lateral moraine,
and down the other side to the glacier. Walking up the bed of the glacier we
arrive at Base Camp (4237m).
- Annapurna Base Camp - Bamboo
you climb very early to the viewpoint for a stunning sunrise. After breakfast
we retrace our steps to Bamboo.
- Bamboo- Chhomrung
From Bamboo the trail descends a long, stone staircase through bamboo and
rhododendrons forests to Kuldi. The trail continues through more rhododendron
forest and down to Sinuwa. From Sinuwa the trail leads downhill to the Modi
Khola, where you then climb steeply to Chhomrung.
- Chhomrung- Ghandrung
From Chhomrung the trail heads back to Taglung, then descends gently through
forests to Kummu. You carry on down the trail to Ghandrung where there are fine
views of Annapurna South.
- Ghandrung- Pokhara
from Ghandrung you trek downhill through villages and terraced fields to Syauli
Bazaar and on to Nayapul. Here we arrange transport back to Pokhara.
Sorry for take your valuable time & thanks for take a look